উপজেলা সংবাদদাতাঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ৪ নং শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মজির উদ্দিন (৫২) কে গত ৩১ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে । পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর বাড়ি উত্তর শাহবাজপুরের নান্দুয়া গ্রামে।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মজির রাত ৮ টার দিকে বাড়িতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এরপর তিনি নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা নান্দুয়ার পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর মসজিদের সামনের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অটোরিকশার চালক সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কাতরাতে দেখেন। পাশেই মোটরসাইকেলটি ফেলে রাখা ছিল। অটোরিকশার চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সড়কে পড়ে থাকা ব্যক্তি মজির উদ্দিন বলে শনাক্ত করেন। পরে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। উক্ত ঘটনায় গতকাল রাতে সন্ধেহভাজন একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মুছব্বির আলী। উল্লেখ্য তিনি ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। নিহতের পারিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মুছব্বীর আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ১লা ফেব্রুয়ারী দুপুরে নিহত মজির উদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া বেগম বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় ৮জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, ১. মুছব্বির আলী, ২ মিফতাহ উদ্দিন, ৩ ফয়জুল হক, ৪ কবির আহমদ, ৫, মুনিয়া বেগম, ৬ জায়েদ আহমদ ৭ জাকির হোসেন, ৮ সুহেল আহমদ। (সর্ব সাং নান্দুয়া)
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান , সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মজির উদ্দিনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মজিরের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মজির উদ্দিন ঐ এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন বলে জানা যায় । তাঁর ভাই আমীর উদ্দিন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা । আমীর উদ্দিনকেও সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছিলো ।